বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আকীদা বিষয়ক মাসয়ালা-মাসায়েল

আকীদা বিষয়ক মাসয়ালা-মাসায়েল



~মিকা

    সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্বজগতের পালনকর্তা। দরূদ ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ , তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাঁর নীতি মেনে চলে তাদের সকলের উপর। kvBL আবদুল আযীয web Ave&`yjøvn web evh (in.) চেরিটেবল ফাউণ্ডেশনের গবেষণা পরিষদ আনন্দের সাথে পাঠকবৃন্দের সামনে এই সংকলনটি পেশ করছে। এটা হচ্ছে মাণ্যবর শাইখ Ave&`yjøvn বিন বায w এর জ্ঞান ভাণ্ডার প্রকাশের অন্যতম একটি সিরিজ। মূল্যবান এ সিরিজটি প্রকাশ করার ব্যাপারে যারা সহযোগিতা করেছেন, আল্লাহ তাদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুনআর এ সিরিজটিকে উপকারী বিদ্যা হিসেবে মাণ্যবর শাইখের কবরে তার mIqve জারি করে দিন। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সুউচ্চ জান্নাতুল wdi`vD‡m একত্রিত বসবাস করার তাওফীক দান করেন। নিশ্চয় তিনি এর তত্বাবধায়ক ও এ কাজে পূর্ণ সক্ষম।

দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবায়ে কেরামের উপর।   

                          মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল কাফী

                                             mohdkafi12@gmail.com      

-----বিস্তারিত জানতে বইটি সংগ্রহ করুন------

এক নজরে বইটি:

#AvKx`v welqK gvmqvjv-gvmv‡qj           

#মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল কাফী

#প্রকাশক: যায়নুল আবেদীন বিন নুমান

#প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

#মূল্য: 75 টাকা বোর্ড  বাধাঁই পৃষ্ঠা: 144

---------------------------------------------

#যোগাযোগঃ

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

প্রধান শাখা : রানীবাজার, রাজশাহী, বাংলাদেশ। +8801708 524 525, +8801730 934325

দ্বিতীয় শাখা : সোনাদীঘির মোড়, সাহেব বাজার, রাজশাহী, বাংলাদেশ। +8801737 152036, +8801708 524 525

>>ফেসবুক পেজ লিংক :

https://www.facebook.com/wahidiyaislamialibrary/

(পেজে লাইক ও ফলো করে রাখুন)

>>ওয়েবসাইট লিংক : http://wahidiyalibrary.blogspot.com/?m=1

>>আমাদের বই তালিকা পেতে এখানে ভিজিট করুনঃ 

http://wahidiyalibrary.blogspot.com/p/blog-page_16.html?m=1


শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

কারবালার প্রান্তরে হুসাইন রাযি. এর শাহাদাত বরণের প্রকৃত ঘটনা:


কারবালার প্রান্তরে হুসাইন রাযি. এর শাহাদাত বরণের প্রকৃত ঘটনা:

৬০ হিজরিতে ইরাকবাসীদের নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, হুসাইন (রা.) ইয়াযিদ বিন মুয়াবিয়ার হাতে বায়আত করেননি। তারা তাঁর নিকট চিঠি-পত্র পাঠিয়ে জানিয়ে দিল যে ইরাকবাসীরা তাঁর হাতে খেলাফতের বায়আত করতে আগ্রহী। ইয়াযিদকে তারা সমর্থন করে না বলেও সাফ জানিয়ে দিল। তারা আরও বলল যে, ইরাকবাসীরা ইয়াযিদের পিতা মুয়াবিয়া (রা.) এর প্রতিও মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না। চিঠির পর চিঠি আসতে লাগল। এভাবে পাঁচ শতাধিক চিঠি হুসাইন (রা.) এর কাছে এসে জমা হল।  

প্রকৃত অবস্থা যাচাই করার জন্য হুসাইন (রা.) তাঁর চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকীল < কে পাঠালেন। মুসলিম কুফায় গিয়ে পৌঁছলেন। গিয়ে দেখলেন, আসলেই লোকেরা হুসাইনকে চাচ্ছে। লোকেরা মুসলিমের হাতেই হুসাইনের পক্ষে বায়আত নেওয়া শুরু করল। হানী বিন উরওয়ার ঘরে বায়আত সম্পন্ন হল।

সিরিয়াতে ইয়াযিদের নিকট এই খবর পৌঁছা মাত্র বসরার গভর্ণর উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য পাঠালেন। ইয়াযিদ উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে আদেশ দিলেন যে, তিনি যেন কুফাবাসীকে তার বিরুদ্ধে হুসাইনের সাথে যোগ দিয়ে বিদ্রোহ করতে নিষেধ করেন। সে হুসাইনকে হত্যা করার আদেশ দেন নি।

উবাইদুল্লাহ  কুফায় গিয়ে পৌঁছলেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত করতে লাগলেন এবং মানুষকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করলেন। পরিশেষে তিনি নিশ্চিত হলেন যে, হানী বিন উরওয়ার ঘরে হুসাইনের পক্ষে বায়আত নেওয়া হচ্ছে।

অতঃপর মুসলিম বিন আকীল চার হাজার সমর্থক নিয়ে অগ্রসর হয়ে দ্বিপ্রহরের সময় উবাইদুল্লাহ  বিন জিয়াদের প্রাসাদ ঘেরাও করলেন। এ সময় উবাইদুল্লাহ  বিন যিয়াদ দাঁড়িয়ে এক ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি ইয়াযিদের সেনা বাহিনীর ভয় দেখালেন।

তিনি এমন ভীতি প্রদর্শন করলেন যে, লোকেরা ইয়াযিদের ধরপাকড় এবং শাস্তির ভয়ে আস্তে আস্তে পলায়ন করতে শুরু করল। ইয়াযিদের ভয়ে কুফাবাসীদের পলায়ন ও বিশ্বাস ঘাতকতার লোমহর্ষক ঘটনা জানতে চাইলে পাঠকদের প্রতি ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রহি. কর্তৃক রচিত মিনহাজুস সুন্নাহবইটি পড়ার অনুরোধ রইল। যাই হোক কুফাবাসীদের চার হাজার লোক পালাতে পালাতে এক পর্যায়ে মুসলিম বিন আকীলের সাথে মাত্র তিন জন লোক অবশিষ্ট রইল। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মুসলিম বিন আকীল দেখলেন, হুসাইন প্রেমিক আল্লাহর একজন বান্দাও তার সাথে অবশিষ্ট নেই। এবার তাকে গ্রেপ্তার করা হল। উবাইদুল্লাহ  বিন যিয়াদ তাকে হত্যার আদেশ দিলেন। মুসলিম বিন আকীল উবাইদুল্লাহ এর নিকট আবেদন করলেন, তাকে যেন হুসাইনের নিকট একটি চিঠি পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। এতে উবাইদুল্লাহ  রাজী হলেন। চিঠির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ছিল এ রকম:

"হুসাইন! পরিবার-পরিজন নিয়ে ফেরত যাও। কুফাবাসীদের ধোঁকায় পড়ো না। কেননা তারা তোমার সাথে মিথ্যা বলেছে। আমার সাথেও তারা সত্য বলেনি। আমার দেয়া এই তথ্য মিথ্যা নয়।" অতঃপর যুলহাজ্জ মাসের ৯ তারিখ আরাফা দিবসে উবাইদুল্লাহ মুসলিমকে হত্যার আদেশ প্রদান করেন। এখানে বিশেষভাবে স্মরণ রাখা দরকার যে, মুসলিম ইতিপূর্বে কুফাবাসীদের ওয়াদার উপর ভিত্তি করে হুসাইনকে আগমনের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠির উপর ভিত্তি করে যুল-হাজ্জ মাসের ৮ তারিখে হুসাইন (রা.) মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন। অনেক সাহাবী তাঁকে বের হতে নিষেধ করেছিলেন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্দুল্লাহ  ইবনে উমার, আব্দুল্লাহ  ইবনে যুবাইর, আব্দুল্লাহ  বিন আমর এবং তাঁর ভাই মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফীয়্যাহ এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ইবনে উমার < হুসাইনকে লক্ষ্য করে বলেন: হুসাইন! আমি তোমাকে একটি হাদীছ শুনাবো। জিবরীল আ. আগমন করে নাবী কে  দুনিয়া এবং আখিরাত- এ দুটি থেকে যে কোন একটি গ্রহণ করার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তিনি দুনিয়া বাদ দিয়ে আখিরাতকে বেছে নিয়েছেন। আর তুমি তাঁর অংশ। আল্লাহর শপথ! তোমাদের কেউ কখনই দুনিয়ার সম্পদ লাভে সক্ষম হবেন না। তোমাদের ভালোর জন্যই আল্লাহ তোমাদেরকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস থেকে ফিরিয়ে রেখেছেন। হুসাইন তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন এবং যাত্রা বিরতি করতে অস্বীকার করলেন। অতঃপর ইবনে উমার < হুসাইনের সাথে আলিঙ্গন করে বিদায় দিলেন এবং ক্রন্দন করলেন।

সুফীয়ান ছাওরী (রা.) ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবনে আব্বাস < হুসাইনকে বলেছেন: মানুষের দোষারোপের ভয় না থাকলে আমি তোমার ঘাড়ে ধরে বিরত রাখতাম।

বের হওয়ার সময় আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) হুসাইনকে বলেছেন: হুসাইন! কোথায় যাও? এমন লোকদের কাছে, যারা তোমার পিতাকে হত্যা করেছে এবং তোমার ভাইকে আঘাত করেছে?

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেছেন: হুসাইন তাঁর জন্য নির্ধারিত ফয়সালার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছেন। আল্লাহর শপথ! তাঁর বের হওয়ার সময় আমি যদি উপস্থিত থাকতাম, তাহলে কখনই তাকে যেতে দিতাম না। তবে বল প্রয়োগ করে আমাকে পরাজিত করলে সে কথা ভিন্ন। (ইয়াহ-ইয়া ইবনে মাঈন সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন)

যাত্রা পথে হুসাইনের কাছে মুসলিমের সেই চিঠি এসে পৌঁছল। চিঠির বিষয় অবগত হয়ে তিনি কুফার পথ পরিহার করে ইয়াযিদের কাছে যাওয়ার জন্য সিরিয়ার পথে অগ্রসর হতে থাকলেন। পথিমধ্যে ইয়াযিদের সৈন্যরা আমর বিন সাদ, সীমার বিন যুল জাওশান এবং হুসাইন বিন তামীমের নেতৃত্বে কারবালার প্রান্তরে হুসাইনের গতিরোধ করল। হুসাইন সেখানে অবতরণ করে আল্লাহর দোহাই দিয়ে এবং ইসলামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনটি প্রস্তাবের যে কোন একটি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহবান জানালেন।

১. হুসাইন বিন আলী (রা.) কে ইয়াযিদের দরবারে যেতে দেয়া হোক। তিনি সেখানে গিয়ে ইয়াযিদের হাতে বায়আত গ্রহণ করবেন। কেননা তিনি জানতেন যে, ইয়াযিদ তাঁকে হত্যা করতে চান না।

২. অথবা তাঁকে মদিনায় ফিরে যেতে দেয়া হোক।

৩. অথবা তাঁকে কোন ইসলামী অঞ্চলের সীমান্তের দিকে চলে যেতে দেয়া হোক। সেখানে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত বসবাস করবেন এবং রাজ্যের সীমানা পাহারা দেয়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবেন।   

ইয়াযিদের সৈন্যরা কোন প্রস্তাবই মানতে রাজী হল না। তারা বলল: উবাইদুল্লাহ  বিন যিয়াদ যেই ফয়সালা দিবেন আমরা তা ব্যতীত অন্য কোন প্রস্তাব মানতে রাজী নই। এই কথা শুনে উবাইদুল্লাহ এর এক সেনাপতি (হুর বিন ইয়াযিদ) বললেন: এরা তোমাদের কাছে যেই প্রস্তাব পেশ করছে তা কি তোমরা মানবে না? আল্লাহর কসম! তুর্কী এবং দায়লামের লোকেরাও যদি তোমাদের কাছে এই প্রার্থনাটি করত, তাহলে তা ফেরত দেয়া তোমাদের জন্য বৈধ হত না। এরপরও তারা উবাইদুল্লাহ এর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতেই দৃঢ়তা প্রদর্শন করল। সেই সেনাপতি ঘোড়া নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলেন এবং হুসাইন ও তাঁর সাথীদের দিকে গমন করলেন। হুসাইনের সাথীগণ ভাবলেন: তিনি তাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসছেন। তিনি কাছে গিয়ে সালাম দিলেন। অতঃপর সেখান থেকে ফিরে এসে উবাইদুল্লাহ এর সৈনিকদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তাদের দুইজনকে হত্যা করলেন। অতঃপর তিনিও নিহত হলেন। 

সৈন্য সংখ্যার দিক থেকে হুসাইনের সাথী ও ইয়াযিদের সৈনিকদের মধ্যে বিরাট ব্যবধান ছিল। হুসাইনের সামনেই তাঁর সকল সাথী বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে নিহত হলেন। অবশেষে তিনি ছাড়া আর কেউ জীবিত রইলেন না। তিনি ছিলেন সিংহের মত সাহসী বীর। কিন্তু সংখ্যাধিক্যের মুকাবিলায় তাঁর পক্ষে ময়দানে টিকে থাকা সম্ভব হল না। কুফাবাসী প্রতিটি সৈনিকের কামনা ছিল সে ছাড়া অন্য কেউ হুসাইনকে হত্যা করে ফেলুক। যাতে তার হাত রাসূলের দৌহিত্রের রক্তে রঙ্গীন না হয়। পরিশেষে নিকৃষ্ট এক ব্যক্তি হুসাইনকে হত্যার জন্য উদ্যত হয়। তার নাম ছিল সীমার বিন যুল জাওশান। সে বর্শা দিয়ে হুসাইনের শরীরে আঘাত করে ধরাশায়ী করে ফেলল। অতঃপর ইয়াযিদ বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে ৬১ হিজরীর মুহাররাম মাসের ১০ তারিখে আশুরার পবিত্র দিনে ৫৭ বছর বয়সে তিনি শাহাদাত অর্জনের সৌভাগ্য লাভ করেন। বলা হয় এই সীমারই হুসাইনের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে কেউ কেউ বলেন: সিনান বিন আনাস আন নাখঈ নামক এক ব্যক্তি তাঁর মাথা দেহ থেকে আলাদা করে। আল্লাহই ভাল জানেন।

-----বিস্তারিত জানতে বইটি সংগ্রহ করুন------

এক নজরে বইটি:

#কারাবালার প্রকৃত ইতিহাস

#শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ মাদানী

#প্রকাশক: যায়নুল আবেদীন বিন নুমান

#প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

#মূল্য: 17 টাকা। পৃষ্ঠা: 40

---------------------------------------------

#যোগাযোগঃ

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

প্রধান শাখা : রানীবাজার, রাজশাহী, বাংলাদেশ। +8801708 524 525, +8801730 934325

দ্বিতীয় শাখা : সোনাদীঘির মোড়, সাহেব বাজার, রাজশাহী, বাংলাদেশ। +8801737 152036, +8801708 524 525

>>ফেসবুক পেজ লিংক :

https://www.facebook.com/wahidiyaislamialibrary/

(পেজে লাইক ও ফলো করে রাখুন)

>>ওয়েবসাইট লিংক : http://wahidiyalibrary.blogspot.com/?m=1

>>আমাদের বই তালিকা পেতে এখানে ভিজিট করুনঃ 

http://wahidiyalibrary.blogspot.com/p/blog-page_16.html?m=1


হাদীস সম্ভার



হাদীস সম্ভার

(প্রায় চার হাদীসের সমাহার)

শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী

(বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক, লেখক, দাঈ আল-মাজমাআহ সঊদী আরব)

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী, রাণীবাজার,

(মাদরাসা মার্কেটের সামনে), রাজশাহী।

প্রকাশক

যায়নুল আবেদীন বিন নুমান

ডি.এইচ (মুমতায), বি.এ অনার্স, এম.এ. ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, ইসলামিক স্টাডিজ, রাবি.

শিক্ষক: মাদ্রাসা ইশাআতুল ইসলাম আস-সালাফিয়্যাহ্, রাণীবাজার, রাজশাহী।

প্রকাশনায়:

[কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে রচিত তথ্য সমৃদ্ধ কিতাব প্রকাশে সচেষ্ট]

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

১ম শাখা: রাণীবাজার (মাদরাসা মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে), রাজশাহী ০১৭০৮-৫২৪ ৫২৫।

২য় শাখা: সোনাদিঘী মোড়, রাজশাহী। ০১৭৩৭-১৫২০৩৬,


অভিযোগ ও পরামর্শ: ০১৭৩০-৯৩৪৩২৫

(প্রকাশনা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)

প্রকাশকাল

প্রথম প্রকাশ: ১৪ জুন ২০১৫ ঈসায়ী।

প্রথম সংস্করণ: ২৬ জুন ২০১৯ ঈসায়ী।




সর্বোচ্চ মূল্য: ৬০০ : ২০% কমিশন ক্রেতার জন্য নির্ধারিত।

মূদ্রণ: দি বেঙ্গল প্রেস, রাণীবাজার, রাজশাহী।

বাঁধায়: ওয়াহীদিয়া বুক বাইণ্ডার্স, রাণীবাজার, রাজশাহী।

কেন বইটি ছাপালাম

আর তাঁর জীবনাদর্শ জানতে হলে পবিত্র কুরআন এবং সহীহ সুন্নাহ্ জানার বিকল্প নেই। বাংলা ভাষাভাষীরা সাধারণত কুতুবুস সিত্তাহ্ (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, আবূ দাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্), ও সংকলিত মিশকাত, রিয়াযুয স্বলেহীন ও বুলুগুল মারাম হাদীসের কিতাবগুলোর নাম শুনে, জানে ও পড়ে থাকে। আর এ কয়েকটি কিতাবের মূল কপি ও বাংলা অনুবাদ আমাদের দেশে পাওয়া যায়। কিন্তু এ ছাড়াও যে একাধিক হাদীস গ্রন্থ রয়েছে, সে সমস্ত কিতাবগুলোর নাম অনেকে জানে না এবং ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ নেই এমনকি এ দেশের বড় বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, লাইব্রেরীগুলোতেও খুঁজে পাওয়া যায় না।

যাহোক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জীবনের সকল দিক ও বিভাগ নিয়ে শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী দীর্ঘ দিন যাবত বহু পরিশ্রম করে তাঁর রচিত অনুদিত ও সম্পাদিত প্রায় শতাধিক গ্রন্থ থেকে নির্বাচন করে বিষয়ভিত্তিক আকারে ৪২টি অধ্যায়ে, ৫৬৩টি বিষয়ে ৩৯০২টি গুরুত্বপূর্ণ সহীহ হাদীস প্রায় ৩০টিরও বেশি মূল হাদীস গ্রন্থ থেকে নির্বাচন করে সন্নিবেশিত করেছেন। যার অনেক হাদীস দূষ্প্রাপ্য হাদীসের কিতাব থেকে তাহক্বীক্ব ও তাখরীজ করে হাদীস নম্বর বা খ-, পৃষ্ঠা উল্লেখ করেছেন। তার ব্যবহৃত প্রতিটি  হাদীস বা তার পৃষ্ঠা নম্বর, মাকতাবাতুস শামেলায় প্ওায়া যাবে। (এটি একটি সফ্টওয়ার যাতে আরবী ভাষায় প্রায় ১৭,০০০ খানা বই রয়েছে) এছাড়াও তিনি অধিকাংশ বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কুরআনের প্রায় ৪০০ টি আয়াত উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, তাওহীদ পাবলিকেশন্সের বুখারী, ইবনে মাজাহ, আলবানী একাডেমীর বুখারী, আবু দাউদ, মাদানী প্রকাশনীর নাসাঈ ও তিরমিযীর হাদীস নম্বর অত্র কিতাবে ব্যবহৃত হাদীস নম্বরের সাথে মিল রয়েছে। যে সমস্ত কিতাবগুলো থেকে হাদীসগুলো সংকলন করা হয়েছে সেগুলো ভূমিকার শেষাংশে লেখক, প্রকাশনীর বৃত্তান্ত উল্লেখ করা হল।

“হাদীস সম্ভার” কিতাব খানা প্রকাশ করতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। আর পরক্ষণে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সংকলকের, তাঁর পূর্ণ অনুমতি ও সহযোগিতায় মূল্যবান কিতাবখানা বাংলাভাষীদের খিদমাতে পেশ করতে পেরেছি। তাই আল্লাহর নিকট প্রাণ খুলে দু‘আ করি, আল্লাহ যেন সম্মানিত লেখক, দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদিম ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী (হাফিযাহুল্লাহ তা‘য়ালা) কে হায়াতে তইয়্যিবাহ্ ও উত্তম বিনিময় দান করেন। শাইখের এ পরিশ্রমের বদৌলতে তাঁর পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজনকে পরকালে নাজাত দান করেন। আর তিনি যেন আরো বেশি বেশি দ্বীনের খিদমাত করে যেতে পারেন এ প্রার্থনা করি।

আরও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি, সম্মানিত শাইখ মুনিরুল ইসলাম ফাইযী এবং আরো যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং  উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সতর্কতা সত্ত্বেও মুদ্রণ প্রমাদ ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ভুল ত্রুটি উল্লেখ পূর্বক যে কোন পরামর্শ দিলে তা সাদরে গৃহীত হবে। আমরা ভুল সংশোধনে আগ্রহী।

পরিশেষে দু‘আ করি আল্লাহ তা‘আলা সংকলক ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বাঙ্গীন কল্যাণ ও শান্তি দান করুন। আমীন।

বিনীত

আব্দুল ওয়াহীদ বিন ইউনুস

যায়নুল আবেদীন বিন নুমান


---------------------------------------------

#যোগাযোগঃ

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী প্রধান শাখা : রানীবাজার, রাজশাহী, বাংলাদেশ। +8801708 524 525, +8801730 934325

দ্বিতীয় শাখা : সোনাদীঘির মোড়, সাহেব বাজার, রাজশাহী, বাংলাদেশ। +8801737 152036, +8801708 524 525

>>ফেসবুক পেজ লিংক :

https://www.facebook.com/wahidiyaislamialibrary/

(পেজে লাইক ও ফলো করে রাখুন)

>>ওয়েবসাইট লিংক : http://wahidiyalibrary.blogspot.com/?m=1

>>আমাদের বই তালিকা পেতে এখানে ভিজিট করুনঃ 

http://wahidiyalibrary.blogspot.com/p/blog-page_16.html?m=1

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

সহীহ্ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব


অত্র কিতাবে শরী‘আতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ترغيب (তারগীব) বা সহীহ আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী ও ترهيب (তারহীব) বা হারাম-নিষিদ্ধ কাজে ভীতি প্রদর্শনকারী হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিতাবটির মূল সংকলক আল্লামা মুনযিরী রহি. (৫৮১-৬৫৬ হি.) হাদীসের প্রসিদ্ধ ৬ টি কিতাবসহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত এ সংক্রান্ত প্রায় সবগুলো হাদীস একত্রিত করেছেন। কিন্তু তিনি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সহীহ না যঈফ, হাদীসের সনদে বা মতনে কোন দোষ আছে কিনা কিছুই উল্লেখ করেন নি। তবে তিনি হাদীস বর্ণনায় দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। যথা- (১) যে হাদীসগুলো সহীহ হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন সেগুলো (عن) শব্দ দ্বারা বর্ণনা শুরু করেছেন। (২) যে হাদীসগুলো দুর্বল হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন সেগুলো (روى) শব্দ দ্বারা বর্ণনা শুরু করেছেন। এ পদ্ধতি সহীহ-যঈফ নির্ণয়ে সুস্পষ্ট নয়। বিধায় পাঠক সমাজ হাদীস গ্রহণে দিশেহারা হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ সহীহ-যঈফ বিষয়টি উল্লেখ করা অনেক জরুরী ছিল। কেননা, বর্তমান যুগে অজ্ঞতা অনেক বেশি, সাধারণ পাঠক হাদীসের সহীহ-যঈফ পার্থক্য বুঝে না। অথচ অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের মতে যঈফ হাদীস দ্বারা শরী‘আতের কোন বিষয়ে আমল করা যায় না। যেমন ইবনুল আরাবী রহি. বলেন “যঈফ হাদীস দ্বারা কোন ক্ষেত্রেই আমল করা যায় না।” ইমাম মুসলিম রহি. তাঁর রচিত সহীহ মুসলিমের ভূমিকায় বলেন, “মানুষের উপর আবশ্যক ছিল যঈফ ও মুনকার হাদীসের বর্ণনাসমূহ পরিত্যাগ করা এবং শুধুমাত্র প্রসিদ্ধ সহীহ হাদীসসমূহ গ্রহণ করা। কেননা, যঈফ-মুনকার হাদীসগুলো সাধারণ সমাজে ছড়ানোর কারণে মানুষ আমলের ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে পড়ে যায়। যেহেতু তারা হাদীসের দোষ ত্রুটি সম্পর্কে অবগত নয়।” এছাড়াও যঈফ হাদীসের প্রতি আমল করা থেকে দূরে থাকার জন্য বহু বিজ্ঞ মুহাক্কিক্ব উলামা সতর্ক করেছেন।

এ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আল্লামা আলবানী রহি. দীর্ঘদিন গবেষণা করে সহীহ ও যঈফ পৃথক করনার্থে আল্লামা মুনযিরী রহি. এর ‘তারগীব ও তারহীব’ কিতাবটিকে নতুন করে ৩টি সহীহ ও ২টি যঈফ খণ্ডে সংকলন করেন। যার কার্য ১৩৯৬ হিজরীতে সমাপ্ত করেন। আর তাহক্বীক্ব যুক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি শুধু হাদীসের হুকুম সহীহ, হাসান ইত্যাদি বলেছেন। বিস্তারিত কারণ তাঁর সংকলিত সিলসিলাহ্ সহীহাহ্, সিলসিলাহ্ যঈফাহ্, সহীহ আল জামে‘ আস-সগীর এবং যঈফ আল জামে‘ আস-সগীর কিতাবে উল্লেখ করেছেন।

‘সহীহ্ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ এবং ‘যঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ নামে পৃথক দু’টি কিতাব মানুষের সামনে উপস্থাপন করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রথম কিতাবের হাদীসগুলো মানুষ বিশ্বাস করবে এবং তার প্রতি সাধ্যানুযায়ী আমল করবে। আর দ্বিতীয় কিতবের হাদীসগুলো বিশ্বাস করা ও আমল করা থেকে বিরত থাকবে এবং তা নবী (স.) এর প্রতি সম্বোধিত করা হতে সতর্ক থাকবে। যাতে করে পাঠক নবী (স.) এর প্রতি মিথ্যারোপের গুনাহে লিপ্ত না হয়। কারণ, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়, সে তার ঠিকানা জাহান্নাম বানিয়ে নিল। (বুখারী ১০৭, মুসলিম ৩)

সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব কিতাবে মোট ৩৭৭৫টি হাদীস, ২৮টি অধ্যায় ও ১৬৮টি পরিচ্ছেদ বা পর্ব রয়েছে। তন্মোধ্যে প্রথম খণ্ডে ১২১৫টি হাদীস, ১১টি অধ্যায় ও ১৪৫টি পরিচ্ছেদ বা পর্ব রয়েছে। আর যঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব কিতাবে মোট ২২৪৮টি হাদীস রয়েছে।


একনজরে কিতাবটি:


কিতাব: সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব

মূল: যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও মুহাক্কিক্ব আল্লামা মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী ✍ (১৯১৪-১৯৯৯ ঈসায়ী)

অনুবাদ ও সম্পাদনা: মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল কাফী আল-মাদানী

প্রকাশক: যায়নুল আবেদীন বিন নুমান

প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৩৬।

হাদীস সংখ্যা: ১২১৫টি। (প্রথম খণ্ডে)

পেজের মান: অফসেট ৭০টি গ্রাম অফ হোয়াইট।

সর্বোচ্চ মূল্য: ৬২৫ : ২০% কমিশন ক্রেতার জন্য নির্ধারিত।


অর্ডার করুন:

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

(কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে রচিত তথ্য সমৃদ্ধ কিতাব প্রকাশে সচেষ্ট)

১ম শাখা: রাণীবাজার (মাদরাসা মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে), রাজশাহী ০১৭০৮-৫২৪ ৫২৫।

২য় শাখা: সোনাদিঘী মোড়, রাজশাহী। ০১৭৩৭-১৫২০৩৬।

ওয়েব:http://wahidiyalibrary.blogspot.com

ইমেইল:wahidiyalibrary@gmail.com, joynulabadin88@gmail.com

ফেসবুক পেইজ:https://www.facebook.com/wahidiyaislamialibrary/

ফেসবুক ইনবক্স:https://www.facebook.com/joynul.abadin.100

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

রিয়াযুস স্বালি-হীন

রিয়াযুস স্বা-লিহীন এমন একটি আমল ও শিষ্টাচার বিষয়ক সংকলিত হাদীসের কিতাব, যেটি সকল মাযহাবের উলাময়ে কিরাম স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং সিলেবাসভুক্ত করেছেন। এটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আর বাংলা ভাষায় কিতাবটি একাধিক প্রকাশনী প্রকাশ করলেও আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী কর্তৃক প্রকাশিত বইটি অন্যান্য প্রকাশনীর চাইতে অনন্য। কারণ এটি বর্তমান সময়ের সুপরিচিত প্রাজ্ঞ আলেম, পিস টিভি বাংলার অন্যতম আলোচক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা যিনি সহীহ মানহাজে সবচাইতে লেখনীতে খেদমত করে যাচ্ছেন ফাযীলাতুশ শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইজী মাদানী কর্তৃত্ব অনূদিত ও একদল বিজ্ঞ আলেম দ্বারা সম্পাদিত। এছাড়াও কিতাবটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যাবলী নিম্নরুপ-

অনূদিত ‘রিয়াযুস স্বা-লিহীন’ কিতারটির আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যাবলী: ১. প্রতিটি হাদীসকে বিশেষ সফটওয়্যার “কুতুবুত তিসআহ” ও “আল-মাকতাবাতুশ শামেলাহ” এর সাহায্যে তাখরীজ সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি হাদীসের নম্বরের ক্ষেত্রে বাংলায় অনূদিত কিতাবগুলোর ক্রমধারা অনুযায়ী সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

২. প্রতিটি হাদীসের তাখরীজের পাশাপাশি সম্ভবপর পুনরাবৃতি মুলক হাদীসগুলোর নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।

৩. অনূদিত কিতাবটিতে উল্লেখিত সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমের হাদীস ব্যতীত প্রতিটি হাদীস যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী ✂ এর তাহক্বীক্ব সংযুক্ত করা হয়েছে।

৪. এ কিতাবে উল্লেখিত যঈফ হাদীসগুলো ছোট ফন্টে হালকা কাল ব্যাকগ্রাউ- দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর পাশাপাশি প্রতিটি যঈফ হাদীসের দুর্বলতার কারণ আল্লামা আলবানী ✂ এর পর্যালোচনাসহ “জ্ঞাতার্থ” বলে উল্লেখ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

৫. সর্বোপরি কিতাবটি যুগোপযোগী উন্নতমানের কাগজ, ছাপা ও আকর্ষণীয় বাঁধাই।

৬. বিশেষ পরিচ্ছন্ন আরবী ফন্টে ইবারতের সাথে মিল রেখে অতি সহজ ও সরল ভাষায় অনুবাদ।


একনজরে কিতাবটি:

কিতাব: রিয়াযুস স্বালি-হীন

মূল: মুহিউদ্দীন আবূ যাকারিয়্যা ইয়াহইয়া বিন শারফ আন্-নাবাবী ✍ (৬৩১-৬৭৬ হিজরী)

তাহক্বীক্ব: যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও মুহাক্কিক্ব আল্লামা মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী ✍ (১৯১৪-১৯৯৯ ঈসায়ী)

অনুবাদ ও সম্পাদনা: আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী (বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক, লেখক, দাঈ ও আলোচক)

 প্রকাশক: যায়নুল আবেদীন বিন নুমান

প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭৪৪।

হাদীস সংখ্যা: ১৯০৫টি। (সমগ্র এক খণ্ডে)।

পেজের মান: অফসেট ৭০টি গ্রাম অফ হোয়াইট।

সর্বোচ্চ মূল্য: ৬২৫ : ২০% কমিশন ক্রেতার জন্য নির্ধারিত।

অর্ডার করুন:
ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী (কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে রচিত তথ্য সমৃদ্ধ কিতাব প্রকাশে সচেষ্ট) ১ম শাখা: রাণীবাজার (মাদরাসা মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে), রাজশাহী ০১৭০৮-৫২৪ ৫২৫। ২য় শাখা: সোনাদিঘী মোড়, রাজশাহী। ০১৭৩৭-১৫২০৩৬।

ওয়েব:http://wahidiyalibrary.blogspot.com

ইমেইল:wahidiyalibrary@gmail.com, joynulabadin88@gmail.com

ফেসবুক পেইজ:https://www.facebook.com/wahidiyaislamialibrary/

ফেসবুক ইনবক্স:https://www.facebook.com/joynul.abadin.100


শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على أشرف المرسلين، نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين، ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين أما بعد:
জীবনে চলার পথে একটি জীবন-পদ্ধতি চাই। আর সেটা হওয়া চাই বিশুদ্ধ ইসলাম। আর সেটা হলো সালাফিয়াত বা সালাফী জীবন-পদ্ধতি। এ পথ ও পদ্ধতিই হলো সঠিক ও শুদ্ধ। এটাই হলো মহান আল্লাহর সরল পথ। এটাই মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর সাহাবাবর্গ  (রা:) এর পথ। এ পথের পথিকরাই হলো ইহকালে সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পরকালে মুক্তিপ্রাপ্ত। এটাই হলো ৭৩ দলের মধ্যে একমাত্র পরিত্রাণ লাভকারী দল। এটাই হলো ইসলামের মূল  স্রোতধারা।
এই দলটির পরিচয় হয়তো সকলের জানা নাও থাকতে পারে। অথবা জানার মধ্যে কোন গোলমাল থাকতে পারে, তাই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
পাঠকের খেদমতে বক্ষ্যমাণ পুস্তিকাটির মূল আরবী হলো মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের প্রণয়ন। অনুবাদ আমার এবং এর শেষে সংযোজিত পরিশিষ্ট আমার। আশা করি পাঠক উপকৃত হবেন এবং সালাফিয়াত সম্বন্ধে তাঁদের অনেক সন্দেহ ও বিরোধী মনোভাবের অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সত্যিকারার্থে ‘সালাফী’ হওয়ার তাওফীক দিন। আমীন।
বিনীত---
আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
২১/২/৪১, ২০/১০/১৯



বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০



অনুবাদকের আরয

দ্বীনের ওপর অটল থাকা কোন কালেই সহজ ছিল না, বিশেষ করে বিশ্বায়নের এযুগে প্রযুক্তির এই চরম ও পরম উন্নতিতে নানামুখী ফিতনার অগ্রসনের সময়ে মুমিন ব্যক্তির জন্য তা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই ঈমানদার ব্যক্তির জন্য দ্বীনের ওপর সুদৃঢ় থাকার জন্য দরকার উপযুক্ত এবং নিরাপদ দিক নির্দেশনা। আর তা সম্ভব একমাত্র একজন আল্লাহ ভীরু এবং হকপন্থি আলেমের পক্ষে, কারণ তারাই নবীগণের ওয়ারিস।
আর এ বিষয়ে সুন্দর এবং উপযুক্ত কিছু দিক নির্দেশনা কুরআন, সহীহ হাদীস এবং সালাফে সালেহীনের জীবনী থেকে তুলে ধরেছেন আরাবীয়ান সুবক্তা এবং সুলেখক শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ (হাফিযাহুল্লাহ) তাঁর “ওসায়িলুস সাবাত আলা দীনিল্লাহ” নামক গ্রন্থে।
বাংলাদেশের ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরীর বিশেষ সহকারী ও হিতাকাক্সক্ষী জনাব যায়নুল আবেদীন বিন নুমান সাহেবের পরামর্শক্রমে আমি এই পুস্তিকাটির অনুবাদে আগ্রহী হই। এই আশায় যে, মানুষ এ গ্রন্থ পাঠে স্বীয় দ্বীনের ওপর সুদৃঢ় থাকার সঠিক পথ খুঁজে পাবে। আর এই উসীলায় মহান আল্লাহ দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে, স্বীয় দয়ায় জান্নাত দান করবেন।
পরিশেষে সুহৃদয় পাঠকবর্গের নিকট এই আবেদন থাকল যে, এই গ্রন্থ পাঠান্তে কোন প্রকার ভুলভ্রান্তি তাদের দৃষ্টিগোচর হলে আর তারা তা আমাকে বা প্রকাশককে অবগত করলে আমরা তা পরবর্তী সংস্করণে সংশোধনের জন্য চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।
ফকীর ইলা আফবী রাব্বিহি:
আবদুল্লাহিল হাদী মু. ইউসুফ
রিয়াদ, সৌদি আরব


সূচীপত্র
ক্র. বিষয় পৃ.
ভূমিকা
অটল থাকার উপায়সমূহ ১১
কুরআনমুখী হওয়া ১১
কুরআন মানুষের অন্তরকে সুদৃঢ় রাখার ক্ষেত্রে মূল উৎস কেন? ১২
আল্লাহর বিধানকে আঁকড়ে ধরা এবং সৎ আমল করা ১৪
আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে এবং অনুসরণের বাসনা নিয়ে নবীগণের ঘটনাবলি গভীর মনোনিবেশ-সহ অধ্যায়ন করা ১৬
দু‘আ ১৯
আল্লাহর যিকির ২০
ঈমানী, ইলমী, সচেতনতামূলক এবং ক্রমোন্নিত প্রশিক্ষণ সুদৃঢ় থাকার মূল ভিত্তি ২৩
১০ নিরাপদ রাস্তার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস থাকা ২৫
১১ আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়ার চর্চা করা ২৭
১২ দ্বীনের ওপর সুদৃঢ় রাখবে এমন বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা ২৮
১৩ আল্লাহর সাহায্যের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস থাকা আর ভবিষ্যৎ ইসলামেরই ৩০
১৪ বাতিলের হকীকত সম্পর্কে জানা এবং তাতে প্রতারিত না হওয়া ৩২
১৫ দ্বীনের ওপর অটল থাকার সহায়ক চরিত্রসমূহের সমন্বয় ঘটা ৩৩
১৬ সৎ লোকের উপদেশ ৩৪
১৭ জান্নাতের নেয়ামতসমূহ এবং জাহান্নামের আযাবসমূহ নিয়ে চিন্তা করা এবং মৃত্যুর কথা স্মরণ করা ৩৮
১৮ সুদৃঢ় থাকার স্থানসমূহ ৩৯