সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

সহীহ্ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব


অত্র কিতাবে শরী‘আতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ترغيب (তারগীব) বা সহীহ আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধকারী ও ترهيب (তারহীব) বা হারাম-নিষিদ্ধ কাজে ভীতি প্রদর্শনকারী হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিতাবটির মূল সংকলক আল্লামা মুনযিরী রহি. (৫৮১-৬৫৬ হি.) হাদীসের প্রসিদ্ধ ৬ টি কিতাবসহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত এ সংক্রান্ত প্রায় সবগুলো হাদীস একত্রিত করেছেন। কিন্তু তিনি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সহীহ না যঈফ, হাদীসের সনদে বা মতনে কোন দোষ আছে কিনা কিছুই উল্লেখ করেন নি। তবে তিনি হাদীস বর্ণনায় দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। যথা- (১) যে হাদীসগুলো সহীহ হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন সেগুলো (عن) শব্দ দ্বারা বর্ণনা শুরু করেছেন। (২) যে হাদীসগুলো দুর্বল হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন সেগুলো (روى) শব্দ দ্বারা বর্ণনা শুরু করেছেন। এ পদ্ধতি সহীহ-যঈফ নির্ণয়ে সুস্পষ্ট নয়। বিধায় পাঠক সমাজ হাদীস গ্রহণে দিশেহারা হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ সহীহ-যঈফ বিষয়টি উল্লেখ করা অনেক জরুরী ছিল। কেননা, বর্তমান যুগে অজ্ঞতা অনেক বেশি, সাধারণ পাঠক হাদীসের সহীহ-যঈফ পার্থক্য বুঝে না। অথচ অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের মতে যঈফ হাদীস দ্বারা শরী‘আতের কোন বিষয়ে আমল করা যায় না। যেমন ইবনুল আরাবী রহি. বলেন “যঈফ হাদীস দ্বারা কোন ক্ষেত্রেই আমল করা যায় না।” ইমাম মুসলিম রহি. তাঁর রচিত সহীহ মুসলিমের ভূমিকায় বলেন, “মানুষের উপর আবশ্যক ছিল যঈফ ও মুনকার হাদীসের বর্ণনাসমূহ পরিত্যাগ করা এবং শুধুমাত্র প্রসিদ্ধ সহীহ হাদীসসমূহ গ্রহণ করা। কেননা, যঈফ-মুনকার হাদীসগুলো সাধারণ সমাজে ছড়ানোর কারণে মানুষ আমলের ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে পড়ে যায়। যেহেতু তারা হাদীসের দোষ ত্রুটি সম্পর্কে অবগত নয়।” এছাড়াও যঈফ হাদীসের প্রতি আমল করা থেকে দূরে থাকার জন্য বহু বিজ্ঞ মুহাক্কিক্ব উলামা সতর্ক করেছেন।

এ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় আল্লামা আলবানী রহি. দীর্ঘদিন গবেষণা করে সহীহ ও যঈফ পৃথক করনার্থে আল্লামা মুনযিরী রহি. এর ‘তারগীব ও তারহীব’ কিতাবটিকে নতুন করে ৩টি সহীহ ও ২টি যঈফ খণ্ডে সংকলন করেন। যার কার্য ১৩৯৬ হিজরীতে সমাপ্ত করেন। আর তাহক্বীক্ব যুক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি শুধু হাদীসের হুকুম সহীহ, হাসান ইত্যাদি বলেছেন। বিস্তারিত কারণ তাঁর সংকলিত সিলসিলাহ্ সহীহাহ্, সিলসিলাহ্ যঈফাহ্, সহীহ আল জামে‘ আস-সগীর এবং যঈফ আল জামে‘ আস-সগীর কিতাবে উল্লেখ করেছেন।

‘সহীহ্ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ এবং ‘যঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ নামে পৃথক দু’টি কিতাব মানুষের সামনে উপস্থাপন করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রথম কিতাবের হাদীসগুলো মানুষ বিশ্বাস করবে এবং তার প্রতি সাধ্যানুযায়ী আমল করবে। আর দ্বিতীয় কিতবের হাদীসগুলো বিশ্বাস করা ও আমল করা থেকে বিরত থাকবে এবং তা নবী (স.) এর প্রতি সম্বোধিত করা হতে সতর্ক থাকবে। যাতে করে পাঠক নবী (স.) এর প্রতি মিথ্যারোপের গুনাহে লিপ্ত না হয়। কারণ, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়, সে তার ঠিকানা জাহান্নাম বানিয়ে নিল। (বুখারী ১০৭, মুসলিম ৩)

সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব কিতাবে মোট ৩৭৭৫টি হাদীস, ২৮টি অধ্যায় ও ১৬৮টি পরিচ্ছেদ বা পর্ব রয়েছে। তন্মোধ্যে প্রথম খণ্ডে ১২১৫টি হাদীস, ১১টি অধ্যায় ও ১৪৫টি পরিচ্ছেদ বা পর্ব রয়েছে। আর যঈফ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব কিতাবে মোট ২২৪৮টি হাদীস রয়েছে।


একনজরে কিতাবটি:


কিতাব: সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব

মূল: যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও মুহাক্কিক্ব আল্লামা মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী ✍ (১৯১৪-১৯৯৯ ঈসায়ী)

অনুবাদ ও সম্পাদনা: মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল কাফী আল-মাদানী

প্রকাশক: যায়নুল আবেদীন বিন নুমান

প্রকাশনায়: ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৩৬।

হাদীস সংখ্যা: ১২১৫টি। (প্রথম খণ্ডে)

পেজের মান: অফসেট ৭০টি গ্রাম অফ হোয়াইট।

সর্বোচ্চ মূল্য: ৬২৫ : ২০% কমিশন ক্রেতার জন্য নির্ধারিত।


অর্ডার করুন:

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

(কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে রচিত তথ্য সমৃদ্ধ কিতাব প্রকাশে সচেষ্ট)

১ম শাখা: রাণীবাজার (মাদরাসা মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে), রাজশাহী ০১৭০৮-৫২৪ ৫২৫।

২য় শাখা: সোনাদিঘী মোড়, রাজশাহী। ০১৭৩৭-১৫২০৩৬।

ওয়েব:http://wahidiyalibrary.blogspot.com

ইমেইল:wahidiyalibrary@gmail.com, joynulabadin88@gmail.com

ফেসবুক পেইজ:https://www.facebook.com/wahidiyaislamialibrary/

ফেসবুক ইনবক্স:https://www.facebook.com/joynul.abadin.100

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন