#ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দরূদ এবং সালাম বর্ষিত হোক রসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ও তাঁর পরিবার-পরিজন, ছাহাবীবর্গ এবং তাঁর পথের অনুসারীদের উপর।
আমার কিছু ভাই দু‘আ ও যিক্র-আযকার সম্বলিত এমন একটি পুস্তিকা রচনার জন্য আবেদন করলেন, যা এত লম্বা না হয়, যা বিরক্তির কারণ হতে পারে এবং এমন সংক্ষিত না হয় যা অসম্পূর্ন থেকে যায়। তবে কিছু আলিমগণ দু‘আ ও যিক্র সম্পর্কে বহু বড় বড় পুস্তক রচনা করেছেন, যা সনদ সহ বার বার উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তা পড়ার মত আগ্রহী লোকের অভাব।
ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ্) প্রিয় নাবী (স.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: তোমাদেরকে আমি যদি কোন কাজের আদেশ করি তাহলে তা যথাসাধ্য ভাবে পালন করো। (বুখারী ও মুসলিম) ইমাম আবু আম্র ইবনুস সালাহ (রাহিমাহুল্লাহ্) কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন যে, কোন মুসলিম কতটুকু পরিমাণ যিক্র আযকার করলে তাকে আল্লাহ্র অধিক যিক্রকারী নর ও নারীদের অর্ন্তভুক্ত করা হবে? (যাদের কথা মহান আল্লাহ কুরআনুল কারীমে সূরাহ আল- আহযাবের আয়াত নং-৩৫-এ উল্লেখ করেছেন।) উত্তরে তিনি বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যার এবং রাত দিনের বিভিন্ন সময় ও অবস্থার হাদীস দ্বারা প্রমানিত যিক্র ও দু‘আ নিয়মিত পাঠ করে তাহলে তাকে আল্লাহর অধিক যিক্রকারী নর ও নারীদের অর্ন্তভুক্ত গণ্য করা হবে। আর আব্দুল্লাহ বিন বুস্র < হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল ইসলামের বিধি-বিধান অনেক বেশী, তাই আমাকে এমন একটি বিষয় বলে দিন যা আমি মযবুত করে ধারণ করব। তিনি (স.) বললেন: তোমার জবান যেন আল্লাহ্র যিকিরে সর্বদা তরতাজা থাকে। (তিরমিযী, হাদীসটি সহীহ) আর এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, স্থায়ী স্বল্প নফল যিক্র অস্থায়ী অধিক পরিমাণ যিক্রের তুলনায় উত্তম। কেননা নাবী (স.) বলেছেন: وَأَنَّ أَحَبَّ الأَعْمَالِ إِلَى اللهِ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّগ্ধ উত্তম আমল হচ্ছে স্থায়ী আমল যদিও তা পরিমাণে কম হয়। (বুখারী হা:৬৪৬৫)
আমি এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকায় সহীহ্ হাদীসের আলোকে দৈনন্দিন দু‘আ ও যিক্র ও তার পরীক্ষিত ফলাফল সংকলন করেছি। আর মহান আল্লাহর অকাট্য শপথ করে আমি বলছি, যে ব্যক্তি এর প্রতি আমল করবে এবং নিয়মিত ভাবে তা পালন করবে, নি:সন্দেহে সে, তার পরিবার, সন্তান-সন্ততি এবং ধন-সম্পদ শয়তানের চক্রান্ত ও কালের বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং আল্লাহ্ই তার জন্য যথেষ্ট হবেন ও তাকে রক্ষা করবেন। মহান আল্লাহ্র নিকট সাহায্য কামনা করি এবং এই পুস্তিকার সংকলনে আমি যা নিয়্যাত করেছি তা যেন সহজ করে দেন। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই দু‘আ ও যিক্রসমূহে মাধ্যমে সুরক্ষা হাসিলকারী ভাই বোন যেন সুরক্ষিত থাকতে পারেন। সলাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের প্রিয় নাবী মুহাম্মদ (স.) এর উপর।
লেখক: ১/৯/১৪২২ হি:
সুরক্ষাকারী বাচনিক যিক্র
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দরূদ এবং সালাম বর্ষিত হোক রসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ও তাঁর পরিবার-পরিজন, ছাহাবীবর্গ এবং তাঁর পথের অনুসারীদের উপর।
আমার কিছু ভাই দু‘আ ও যিক্র-আযকার সম্বলিত এমন একটি পুস্তিকা রচনার জন্য আবেদন করলেন, যা এত লম্বা না হয়, যা বিরক্তির কারণ হতে পারে এবং এমন সংক্ষিত না হয় যা অসম্পূর্ন থেকে যায়। তবে কিছু আলিমগণ দু‘আ ও যিক্র সম্পর্কে বহু বড় বড় পুস্তক রচনা করেছেন, যা সনদ সহ বার বার উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তা পড়ার মত আগ্রহী লোকের অভাব।
ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ্) প্রিয় নাবী (স.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: তোমাদেরকে আমি যদি কোন কাজের আদেশ করি তাহলে তা যথাসাধ্য ভাবে পালন করো। (বুখারী ও মুসলিম) ইমাম আবু আম্র ইবনুস সালাহ (রাহিমাহুল্লাহ্) কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন যে, কোন মুসলিম কতটুকু পরিমাণ যিক্র আযকার করলে তাকে আল্লাহ্র অধিক যিক্রকারী নর ও নারীদের অর্ন্তভুক্ত করা হবে? (যাদের কথা মহান আল্লাহ কুরআনুল কারীমে সূরাহ আল- আহযাবের আয়াত নং-৩৫-এ উল্লেখ করেছেন।) উত্তরে তিনি বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যার এবং রাত দিনের বিভিন্ন সময় ও অবস্থার হাদীস দ্বারা প্রমানিত যিক্র ও দু‘আ নিয়মিত পাঠ করে তাহলে তাকে আল্লাহর অধিক যিক্রকারী নর ও নারীদের অর্ন্তভুক্ত গণ্য করা হবে। আর আব্দুল্লাহ বিন বুস্র < হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল ইসলামের বিধি-বিধান অনেক বেশী, তাই আমাকে এমন একটি বিষয় বলে দিন যা আমি মযবুত করে ধারণ করব। তিনি (স.) বললেন: তোমার জবান যেন আল্লাহ্র যিকিরে সর্বদা তরতাজা থাকে। (তিরমিযী, হাদীসটি সহীহ) আর এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, স্থায়ী স্বল্প নফল যিক্র অস্থায়ী অধিক পরিমাণ যিক্রের তুলনায় উত্তম। কেননা নাবী (স.) বলেছেন: وَأَنَّ أَحَبَّ الأَعْمَالِ إِلَى اللهِ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّগ্ধ উত্তম আমল হচ্ছে স্থায়ী আমল যদিও তা পরিমাণে কম হয়। (বুখারী হা:৬৪৬৫)
আমি এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকায় সহীহ্ হাদীসের আলোকে দৈনন্দিন দু‘আ ও যিক্র ও তার পরীক্ষিত ফলাফল সংকলন করেছি। আর মহান আল্লাহর অকাট্য শপথ করে আমি বলছি, যে ব্যক্তি এর প্রতি আমল করবে এবং নিয়মিত ভাবে তা পালন করবে, নি:সন্দেহে সে, তার পরিবার, সন্তান-সন্ততি এবং ধন-সম্পদ শয়তানের চক্রান্ত ও কালের বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং আল্লাহ্ই তার জন্য যথেষ্ট হবেন ও তাকে রক্ষা করবেন। মহান আল্লাহ্র নিকট সাহায্য কামনা করি এবং এই পুস্তিকার সংকলনে আমি যা নিয়্যাত করেছি তা যেন সহজ করে দেন। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই দু‘আ ও যিক্রসমূহে মাধ্যমে সুরক্ষা হাসিলকারী ভাই বোন যেন সুরক্ষিত থাকতে পারেন। সলাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের প্রিয় নাবী মুহাম্মদ (স.) এর উপর।
লেখক: ১/৯/১৪২২ হি:
সুরক্ষাকারী বাচনিক যিক্র
১. যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
বিসমিল্লাহ পাঠের ফলাফল:
জ্বিন-শয়তান হতে সুরক্ষিত হওয়া, যাতে করে এই যিক্র পাঠকারীর সাথে খাবার খেতে বা রাত কাটাতে সক্ষম না হয়:
আল্লাহর রসূল (স.) বলেন-
্র إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُوْلِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لَا مَبِيْتَ لَكُمْ وَلَا عَشَآءَ وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ دُخُوْلِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ فَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ وَالْعَشَآءَ গ্ধ.
অর্থাৎ: যখন কোন ব্যক্তি নিজ গৃহে প্রবেশ করে অতঃপর প্রবেশের সময় এবং খাবার খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) করে, তখন শয়তান (নিজ সাথী-সঙ্গীদের) বলে, তোমাদের জন্য রাত কাটানোরও ব্যবস্থা নেই এবং রাতের খাবারও নেই।
আর যদি প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) না করে, তাহলে শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর স্থান পেয়ে গেছো। আর যদি খাবার খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) না করে, তাহলে শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর স্থান এবং রাতের খাবারও পেয়ে গেছো।
বিসমিল্লাহ পাঠের ফলাফল:
জ্বিন-শয়তান হতে সুরক্ষিত হওয়া, যাতে করে এই যিক্র পাঠকারীর সাথে খাবার খেতে বা রাত কাটাতে সক্ষম না হয়:
আল্লাহর রসূল (স.) বলেন-
্র إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُوْلِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لَا مَبِيْتَ لَكُمْ وَلَا عَشَآءَ وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ دُخُوْلِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ فَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ وَالْعَشَآءَ গ্ধ.
অর্থাৎ: যখন কোন ব্যক্তি নিজ গৃহে প্রবেশ করে অতঃপর প্রবেশের সময় এবং খাবার খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) করে, তখন শয়তান (নিজ সাথী-সঙ্গীদের) বলে, তোমাদের জন্য রাত কাটানোরও ব্যবস্থা নেই এবং রাতের খাবারও নেই।
আর যদি প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) না করে, তাহলে শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর স্থান পেয়ে গেছো। আর যদি খাবার খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) না করে, তাহলে শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর স্থান এবং রাতের খাবারও পেয়ে গেছো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন