শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯

অডার করুন নিন্মের ঠিকানা

অর্ডার করুন........
১ম শাখা: রাণীবাজার (মাদরাসা মার্কেটের উত্তর পার্শে), রাজশাহী।
যোগাযোগ: 01708524525

ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী

বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯

তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি (কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যা)


كتاب التوحيد
ব্যাখ্যাঃ ভাষ্যকার বলেনঃ গ্রন্থকার ‘বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ দ্বারা কিতাবুত্ তাওহীদ লিখা শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেনঃ কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফাতহুল মাজীদে’ আমি বিস্মিল্লাহ্-এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি। বিস্মিল্লাহ্-এর মাধ্যমে সকল কাজ-কর্ম শুরু করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র সুন্নাতের অন্তর্ভূক্ত। সুন্নাতের অনুসরণ করেই ইমাম বুখারী এবং অন্যান্য আলেমগণ বিসমিল্লাহ্ দ্বারা তাদের কিতাব লিখা শুরু করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে চিঠি লেখার সময় বিসমিল্লাহ লিখতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি প্রসিদ্ধ হাদীছে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করার আদেশ দিয়েছেন। ইমাম ইবনে মাজাহ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। 
গ্রন্থকার এখানে ‘তাওহীদ’ দ্বারা ‘তাওহীদুল ইবাদাহ’ তথা এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করাকে বুঝিয়েছেন। 

 . তবে হাদীছের সনদ দুর্বল। যাঈফু সুনানে আবী দাউদ হা/১৮৯৪, ইরাউল গালীল হা/২।
 . আলেমগণ কুরআন ও হাদীছের আলোকে তাওহীদকে তিনভাবে বিভক্ত করেছেনঃ
   ক) তাওহীদে রুবুবীয়াহঃ তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ হল দৃঢ়ভাবে এ বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তাআলা সব কিছুর প্রতিপালক, তিনিই সব কিছুর মালিক, সৃষ্টি কর্তা, ব্যবস্থাপক ও পরিচালক। তার রাজত্বে কোন অংশীদার নেই। তিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। তাঁর ফয়সালাকে কেউ পরিবর্তন করতে পারে না, তার আদেশ প্রত্যাখ্যান করার মত কেউ নেই, তাঁর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, তাঁর অনুরূপ আর কেউ নেই, নেই তাঁর কোন সমতুল্য। তাঁর প্রতিপালনাধীন কোন বিষয়ের বিরোধী কেউ নেই এবং তাঁর নাম ও গুণাবলীতেও কোন শরীক নেই। আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿قُلْ مَنْ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ قُلْ اللَّهُ قُلْ أَفَاتَّخَذْتُمْ مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ لاَ يَمْلِكُونَ لأَنفُسِهِمْ نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِي الظُّلُمَاتُ وَالنُّورُ أَمْ جَعَلُوا لِلَّهِ شُرَكَاءَ خَلَقُوا كَخَلْقِهِ فَتَشَابَهَ الْخَلْقُ عَلَيْهِمْ قُل اللَّهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ﴾
“বলো! কে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক? বলোঃ আল্লাহ। বলোঃ তবে কি তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছো, যারা নিজেদের লাভ ও ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়? তুমি বলোঃ অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান? অথবা অন্ধকার ও আলো কি সমান? তবে কি তারা আল্লাহর এমন শরীক স্থাপন করেছে যারা তাঁর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে যে কারণে সৃষ্টি তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে? বলোঃ আল্লাহ সকল বস্তুর স্রষ্টা; তিনি একক ও পরাক্রমশালী”। আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمْ الْخَالِقُونَ * أَمْ خَلَقُوا السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بَل لاَ يُوقِنُونَ﴾
“তারা কি কোন কিছু ব্যতীতই সৃষ্টি হয়েছে? না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? না কি তারা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করেনা”। (সূরা তুরঃ ৩৫-৩৬)
   সর্বকালের অধিকাংশ বনী আদমই এই প্রকার তাওহীদ তথা তাওহীদে রুবুবীয়ার প্রতি বিশ্বাস করেছে এবং তা মেনে নিয়েছে। জাহেলী যুগের মক্কার মুশরিকরাও তা মেনে নিয়েছিল। কুরআন মজীদে এর অনেক প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
﴿وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ﴾ 
   “এবং তুমি যদি তাদেরকে প্রশ্ন করো- আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তবে অবশ্যই তারা বলবেঃ আল্লাহ্। (সূরা লুকমানঃ ২৫) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿قُلْ مَنْ يَرْزُقُكُمْ مِنْ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَمَّنْ يَمْلِكُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَمَنْ يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنْ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنْ الْحَيِّ وَمَنْ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ فَسَيَقُولُونَ اللَّهُ فَقُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ﴾
   “তুমি জিজ্ঞেস করো, আসমান ও যমীন থেকে কে রিযিক দান করে তোমাদেরকে ? কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তা ছাড়া কে জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ্! তখন তুমি  বলো, তারপরও কি ভয় করবেনা? (সূরা ইউনুসঃ ৩১)
    মুসলিম হিসাবে গণ্য হওয়ার জন্য শুধু তাওহীদে রুবুবীয়াতে বিশ্বাস যথেষ্ট নয়। তাওহীদে উলুহীয়াতে বিশ্বাস না করা পর্যন্ত কাউকে মুমিন হিসাবে গণ্য করা হবেনা। কারণ মক্কাবাসীরা তাওহীদে রুবুবীয়াতে বিশ্বাস করত। কিন্তু আল্লাহর ইবাদতে তারা শরীক স্থাপন করত। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
﴿وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ﴾
   “আর অধিকাংশ মানুষই আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শির্কেও লিপ্ত হয়”। (সূরা ইউসুফঃ ১০৬) এখানে ঈমান বলতে তাওহীদে রুবুবীয়া উদ্দেশ্য। শুধু তাওহীদে রুবুবীয়াতের প্রতি ঈমান আনয়ন করাকে মুসলিম হওয়ার জন্য যথেষ্ট গণ্য করা হয়নি।
  এ জন্যই মক্কাবাসীরা এতে ঈমান আনয়ন করা সত্ত্বেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে বদর, উহুদ ও খন্দকসহ বহু যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। মুসলিম হওয়ার জন্য যদি শুধু আল্লাহ্ তাআলা রুবুবীয়াতের প্রতি ঈমান আনয়ন করাই যথেষ্ট হত, তাহলে তিনি কখনই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন না এবং তাদের জান ও মালকে হালাল মনে করতেন না।




মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯

সুরক্ষিত দূর্গ

#ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দরূদ এবং সালাম বর্ষিত হোক রসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ও তাঁর পরিবার-পরিজন, ছাহাবীবর্গ এবং তাঁর পথের অনুসারীদের উপর।
আমার কিছু ভাই দু‘আ ও যিক্র-আযকার সম্বলিত এমন একটি পুস্তিকা রচনার জন্য আবেদন করলেন, যা এত লম্বা না হয়, যা বিরক্তির কারণ হতে পারে এবং এমন সংক্ষিত না হয় যা অসম্পূর্ন থেকে যায়। তবে কিছু আলিমগণ দু‘আ ও যিক্র সম্পর্কে বহু বড় বড় পুস্তক রচনা করেছেন, যা সনদ সহ বার বার উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তা পড়ার মত আগ্রহী লোকের অভাব।
ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ্) প্রিয় নাবী (স.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: তোমাদেরকে আমি যদি কোন কাজের আদেশ করি তাহলে তা যথাসাধ্য ভাবে পালন করো। (বুখারী ও মুসলিম) ইমাম আবু আম্র ইবনুস সালাহ (রাহিমাহুল্লাহ্) কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন যে, কোন মুসলিম কতটুকু পরিমাণ যিক্র আযকার করলে তাকে আল্লাহ্র অধিক যিক্রকারী নর ও নারীদের অর্ন্তভুক্ত করা হবে? (যাদের কথা মহান আল্লাহ কুরআনুল কারীমে সূরাহ আল- আহযাবের আয়াত নং-৩৫-এ উল্লেখ করেছেন।) উত্তরে তিনি বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যার এবং রাত দিনের বিভিন্ন সময় ও অবস্থার হাদীস দ্বারা প্রমানিত যিক্র ও দু‘আ নিয়মিত পাঠ করে তাহলে তাকে আল্লাহর অধিক যিক্রকারী নর ও নারীদের অর্ন্তভুক্ত গণ্য করা হবে। আর আব্দুল্লাহ বিন বুস্র < হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল ইসলামের বিধি-বিধান অনেক বেশী, তাই আমাকে এমন একটি বিষয় বলে দিন যা আমি মযবুত করে ধারণ করব। তিনি (স.) বললেন: তোমার জবান যেন আল্লাহ্র যিকিরে সর্বদা তরতাজা থাকে। (তিরমিযী, হাদীসটি সহীহ) আর এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, স্থায়ী স্বল্প নফল যিক্র অস্থায়ী অধিক পরিমাণ যিক্রের তুলনায় উত্তম। কেননা নাবী (স.) বলেছেন: وَأَنَّ أَحَبَّ الأَعْمَالِ إِلَى اللهِ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّগ্ধ উত্তম আমল হচ্ছে স্থায়ী আমল যদিও তা পরিমাণে কম হয়। (বুখারী হা:৬৪৬৫)
আমি এই সংক্ষিপ্ত পুস্তিকায় সহীহ্ হাদীসের আলোকে দৈনন্দিন দু‘আ ও যিক্র ও তার পরীক্ষিত ফলাফল সংকলন করেছি। আর মহান আল্লাহর অকাট্য শপথ করে আমি বলছি, যে ব্যক্তি এর প্রতি আমল করবে এবং নিয়মিত ভাবে তা পালন করবে, নি:সন্দেহে সে, তার পরিবার, সন্তান-সন্ততি এবং ধন-সম্পদ শয়তানের চক্রান্ত ও কালের বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং আল্লাহ্ই তার জন্য যথেষ্ট হবেন ও তাকে রক্ষা করবেন। মহান আল্লাহ্র নিকট সাহায্য কামনা করি এবং এই পুস্তিকার সংকলনে আমি যা নিয়্যাত করেছি তা যেন সহজ করে দেন। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই দু‘আ ও যিক্রসমূহে মাধ্যমে সুরক্ষা হাসিলকারী ভাই বোন যেন সুরক্ষিত থাকতে পারেন। সলাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের প্রিয় নাবী মুহাম্মদ (স.) এর উপর।
লেখক: ১/৯/১৪২২ হি:
সুরক্ষাকারী বাচনিক যিক্র
১. যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
 বিসমিল্লাহ পাঠের ফলাফল:
 জ্বিন-শয়তান হতে সুরক্ষিত হওয়া, যাতে করে এই যিক্র পাঠকারীর সাথে খাবার খেতে বা রাত কাটাতে সক্ষম না হয়:
আল্লাহর রসূল (স.) বলেন-
্র إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُوْلِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لَا مَبِيْتَ لَكُمْ وَلَا عَشَآءَ وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ دُخُوْلِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ فَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيْتَ وَالْعَشَآءَ গ্ধ.
অর্থাৎ: যখন কোন ব্যক্তি নিজ গৃহে প্রবেশ করে অতঃপর প্রবেশের সময় এবং খাবার খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) করে, তখন শয়তান (নিজ সাথী-সঙ্গীদের) বলে, তোমাদের জন্য রাত কাটানোরও ব্যবস্থা নেই এবং রাতের খাবারও নেই।
আর যদি প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) না করে, তাহলে শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর স্থান পেয়ে গেছো। আর যদি খাবার খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম স্মরণ (বিসমিল্লাহ পাঠ) না করে, তাহলে শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর স্থান এবং রাতের খাবারও পেয়ে গেছো।


বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯

হে আমার ছেলে

হে আমার ছেলে
হে আমার ছেলে
শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী

প্রকাশক :
যায়নুল আবেদীন বিন নুমান
 শিক্ষক, মাদরাসা ইশাআতুল ইসলাম আস-সালাফিয়্যাহ, রাণীবাজার, রাজশাহী।
 দাওরায়ে হাদীস (মুমতায), বি.এ. (অনার্স) ফার্স্ট ক্লাস থার্ড, এম.এ. ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট,
  ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকাশনায় :
কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে রচিত তথ্য সমৃদ্ধ কিতার প্রকাশে সচেষ্ট ব্যতিক্রমধর্মী
ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী
প্রধান শাখা: রাণীবাজার, রাজশাহী।
               ০১৭৩০-৯৩৪৩২৫, ০১৯২২-৫৮৯৬৪৫
দ্বিতীয় শাখা: সোনাদিঘী মোড়, সাহেব বাজার, রাজশাহী।
               ০১৭৩০-৯৩৪৩২৫, ০১৯২২-৫৮৯৬৪৫
ওয়েব: http://wahidiyalibrary.blogspot.com/
ইমেইল: wahidiyalibrary@gmail.com

হে আমার ছেলে! প্রত্যেক পিতাই চায়, তার সন্তানের সফলতা, চায় উন্নতি। তাই সে তার জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে সন্তানকে উপদেশ দেয়, স্মরণ করিয়ে দেয় তার জীবনের সফলতা, ব্যর্থতার দিকগুলো। বিশেষ করে একজন পিতা যখন জীবনের শেষপ্রান্তে উপনীত হয়, তখন তার জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে সন্তানের পথকে আলোকিত করতে চায়। এ আশায় যে, তাঁর জীবনের সফলতার দিকগুলো হবে সন্তানের পথের দিশা এবং ব্যর্থতাগুলো হবে শিক্ষা।
হে আমার ছেলে! বহুদিন থেকে আমি মনে মনে ভাবছি, তোমাকে আমার জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো শুনাবো, কিছু উপদেশ দিবো। তারই আলোকে আজ তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই। মনোযোগ দিয়ে তা শুনলে এবং মেনে চললে আল্লাহর ইচ্ছায় তুমি অবশ্যই সফল হবে।

হে আমার ছেলে! আমরা কেউই আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিগত নির্ধারণের বাইরে নই। কিন্তু তাই বলে আমি তোমাকে উপদেশ না দিয়ে ছেড়ে দিতে পারিনা। আমাদের মহান প্রভু আল্লাহ তাআলা ভালো-মন্দ দু'টোই সৃষ্টি করেছেন এবং কল্যাণ-অকল্যাণের পথ দেখানোর সাথে সাথে ভালো পথ নির্বাচন করার আদেশ দিয়েছেন এবং ক্ষতিকর পথ এড়িয়ে চলার হুকুম করেছেন।

হে আমার ছেলে! তোমার উপর আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বড় আদেশ হলো, তুমি এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে। এ জন্যই তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আর সবচেয়ে বড় নিষেধ হলো, তুমি তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবেনা।
আল্লাহর সৎবান্দা লোকমান আলাইহিস সালাম তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেন,
﴿یٰبُنَیَّ لَا تُشْرِكْ بِاللهِﺛ اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِیْمٌﭜ﴾
“হে প্রিয় বৎস! আল্লাহ্র সাথে শরীক করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ্র সাথে শরীক করা মহা যুলুম”। (সূরা লুকমান-৩১:১৩)
 ইয়াহইয়া বিন যাকারিয়া আলাইহিস সালাম একদা বনী ইসরাঈলকে বাইতুল মুকাদ্দাসে একত্রিত হওয়ার আহবান জানালেন। তারা যখন তাতে একত্রিত হলো, তখন তিনি তাদেরকে সর্বপ্রথম যে উপদেশটি দিয়েছিলেন, তা হলো,
হে লোক সকল! আল্লাহ তাআলা আমাকে পাঁচটি আদেশ করেছেন। যাতে আমি নিজে সে অনুযায়ী আমল করি এবং তোমাদেরকেও সে অনুযায়ী আমল করার আদেশ দেই। তোমরা এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবেনা। কেননা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করার উদাহরণ হলো যেমন কেউ তার খাঁটি স্বর্ণ-রৌপ্যের মুদ্রা দ্বারা একজন চাকর খরিদ করলো। অতঃপর চাকরকে বললো, এই হলো আমার বাড়ি, এই হলো আমার কাজ। তুমি কাজ করো এবং আমার হক আদায় করো। কিন্তু চাকর তার মনিবের কাজ বাদ দিয়ে অন্যের কাজ শুরু করলো। কে আছে তোমাদের মধ্যে চাকরের এহেন আচরণকে পছন্দ করবে?
লোকমান তাঁর ছেলেকে আল্লাহর হকের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার সাথে সাথে পিতা-মাতার অধিকারের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর বলেছেন, হে বৎস! কোনো পাপ যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা যদি কোনো পাথরের ভিতর অথবা আকাশম-লিতে অথবা মাটির নীচে লুকিয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন। অতএব ছোট-খাট গুনাহ থেকেও দূরে থাকবে।
হে আমার ছেলে! স্বলাত কায়েম করো, সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে বাধা দান করো এবং বিপদে-আপদে ধৈর্য ধারণ করো। এটা নিশ্চয়ই দৃঢ় সংকল্পের কাজ।
হে আমার ছেলে! মানুষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে কথা বলোনা এবং পৃথিবীতে অহংকারের সাথে চলোনা। কেননা আল্লাহ কোনো দাম্ভিক ও অহংকারীকে ভালোবাসেন না। তুমি তোমার চলনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো, তোমার আওয়াজ নীচু করো। আওয়াজের মধ্যে গাধার আওয়াজই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।
যুল ইসবা আলআদওয়ানী তার ছেলেকে জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো অতি সংক্ষেপে এভাবে শুনাতে গিয়ে বলেছেন, হে আমার ছেলে! আমার বয়স শেষ হয়ে গেছে। যদিও আমি এখনো জীবিত আছি। আমি এত দীর্ঘ বয়স পেয়েছি যে, জীবন আমার কাছে দুঃসহ হয়ে পড়েছে। আমি এ মুহূর্তে তোমাকে এমন কিছু উপদেশ দিচ্ছি, যা সংরক্ষণ করলে তুমি তোমার জাতির নিকট আমার মতই উচ্চ আসনে পৌঁছতে পারবে। সুতরাং উপদেশগুলো তুমি মন দিয়ে শ্রবণ করো।

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯

শারহুল আক্বীদাহ্ আল-ওয়াসিত্বীয়া

শারহুল আক্বীদাহ্ আল-ওয়াসিত্বীয়া 

সম্মানিত লেখকের ভূমিকা
بسم الله الرحمن الرحيم

সকল প্রশংসা বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের জন্য। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নাবী মুহাম্মাদ (স.) , তাঁর পরিবার এবং তাঁর সকল সাহ-াবীদের উপর। অতঃপর ইহা শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রহ.) এর “আল-আক্বীদাতুল ওয়াসিত্বীয়াহ্” এর একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। যা নিম্নক্ত উৎসগুলো থেকে সংকলন করা হয়েছে।
 আর-রওযাতুন নাদীয়্যাহ শারহুল আক্বীদাতিল ওয়াসিত্বীয়্যাহ্- শাইখ যাইদ বিন আব্দুল আযীয বিন ফাইয়ায। 
 আত-তাম্বিহাতুস সুন্নিয়্যাহ ‘আলাল আক্বীদাতিল ওয়াসিত্বীয়্যাহ্- শাইখ আব্দুল আযীয বিন নাসির রশীদ।
 আত-তাম্বিহাতুল লুত্বফিয়্যাহ ফি-মা ইহতাওয়াত ‘আলাইহিল ওয়াসিত্বীয়্যাহ মিনাল মাবাহিসিল মানিফাহ্- শাইখ আব্দুর রহমান বিন নাসির আস-সা‘দী।
 নুকিলাত মিন ফাওয়াইদি ‘আলাক্বতিহা ‘আলা নুসখতি ওয়াক্বতিত্ ত্বলাব।
 আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা তাফসীরের বইসমূহ থেকে নেয়া হয়েছে যেমন: ফাতহুল ক্বদীর- ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আলী আশ-শাওকানী (রহ.), তাফসীরুল ক্বুরআনিল ‘আযীম- শাইখ ইসমাইল ইবনে কাসীর। আমি আল্লাহর নিকটে এর উপকার কামনা করছি আর আক্বীদার এই মহান গ্রন্থটি যেন সুস্পষ্টভাবে চূড়ান্ত লাক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। আর আমার পক্ষ থেকে ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আর সর্বশ্রোতা ও ডাকে সাড়া দানকারী মহান আল্লাহ যেন আমাকে এর দ্বারা সঠিক পথে স্থির রাখেন। আর আল্লাহ তা‘আলা যেন আমাদের নাবী মুহাম্মাদ (স.) তাঁর পরিবার এবং তাঁর সকল সাহাবীদের উপর দয়া বর্ষণ করেন। আর সকল প্রশংসা রব্বুল ‘আলামীনের জন্য। 

                                                                       ড. সালিহ বিন ফাওযান আল ফাওযান



 অনুবাদকের ভূমিকা ....................................................................................১০
 بسم اللَّه الرحمن الرحيم   এর ব্যাখ্যা ...................................................১৫
 الحمد لله  এর ব্যাখ্যা ...............................................................................১৬
  আহলে সুন্নাহ্ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদাহ্সমূহ....................................২৩
 ঈমানের রুকনসমূহ ........................................................................................২৬
 আল্লাহ তা‘আলার সিফাতসমূহের প্রতি বিশ্বাস করাও তাঁর প্রতি  ঈমান আনায়নের অন্তর্ভূক্ত.................৩৩
 আহলে সুন্নাহ্ ওয়াল জামা‘আতের লোকেরা আল্লাহর কোনো সিফাতকে অস্বীকার করে না ......৩৭
 আহলে সুন্নাহ্র লোকেরা আল্লাহর সিফাতের কোনো ধরণ বর্ণনা করেন না....৩৯  
 আল্লাহ তা‘আলার সমতুল্য কেউ নেই ..........................................................৪২
 নাফী ও ইসবাতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার সিফাত সাব্যস্ত করণ.........৪৮
সংক্ষিপ্ত

শনিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৯

পিতা -মাতা ও সন্তানের অধিকার বই Download PDF

পিতা -মাতা ও সন্তানের অধিকার বই Download 

এখন থেকে আমাদের এই সাইটে PDF বই দেওয়া হবে আপনারা  ফলো করুন।